হেয়ার জেল
হেয়ার জেল চুলের একটি নির্দিষ্ট আকার ধরে রাখতে সহায়তা করে। একারণে ভেজা ভেজা দেখা যায় চুলকে। হেয়ার জেলে মূলত ব্যবহার করা হয় পানি আর পলিইলেক্ট্রোলাইট পলিমার; সঙ্গে যোগ করা হয় বিভিন্ন ফ্লেভার এবং চকচকে ভাব আনার জন্য গ্লিস্টার অথবা শাইনার।[১]পরিচ্ছেদসমূহ
ব্যবহার
চুলের বিভিন্ন ডিজাইনের জন্য জেল ব্যাবহার হয় কিন্তু এই জেল ত্বকের ক্ষতিও করতে পারে।[২]ইতিহাস
ঐতিহাসিকদের মতে সর্বপ্রথম প্রাচীন মিসরে হেয়ার জেলের প্রচলন সম্পর্কে জানা যায়। প্রাচীন মিসরের অধিবাসীরা চর্বিজাতীয় একধরনের পদার্থ চুলে লাগিয়ে তা দিয়ে চুলের বিভিন্ন ধরনের কায়দা করত। নাতালে ম্যাকক্রিশ নামের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপিকার নেতৃত্বে একটি দল ১৮টি মমির দেহাবশেষ নিয়ে গবেষণা করে ব্যাপারটি প্রমাণ করেছেন যে প্রাচীন মিসরীয়রা জীবিত অবস্থায় চুলের বিভিন্ন কেতার জন্য ‘জেল’ জাতীয় পদার্থ ব্যবহার তো করতই, মৃত্যুর পরও তাদের মৃতদেহের চুলে এর প্রয়োগ থাকত। এই মমিগুলোর সবচেয়ে পুরোনোটির বয়স সাড়ে তিন হাজার বছর। ম্যাকক্রিশের দল গবেষণা করে দেখেছে, চর্বিজাতীয় ওই জেল দিয়ে মৃত ব্যক্তির চুলের বিভিন্ন কেতা করার পরই তা মমিতে রূপান্তরিত হতো।[১]খ্রিষ্টপূর্ব ৩৯২ থেকে ২০১ শতকের মধ্যে একধরনের জেলজাতীয় পদার্থ পুরুষদের চুলের কেতায় ব্যবহূত হতো বলেও জানা যায়। ওই জেল স্পেন ও দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সের পাইনগাছের রস থেকে তৈরি হতো।[১]
বিপণন
হেয়ার জেল বিশ্বে প্রথমবারের মতো বাজারজাত করে ব্রিলক্রিম কোম্পানি। চুলের ফ্যাশনের বিভিন্ন পণ্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত এই কোম্পানিই আধুনিক হেয়ার জেলের প্রথম বাণিজ্যিক উৎপাদক। ১৯২৯ সালে ব্রিটেনে তারা প্রথম হেয়ার জেল বাজারজাত করে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো হেয়ার জেল বাজারজাত করে ডেপ করপোরেশন। যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত হওয়া হেয়ার জেলের ব্র্যান্ড নাম ছিল ‘ডেপ’।[১]তথ্যসূত্র
- কীভাবে এল হেয়ার জেল,নাইর ইকবাল, দৈনিক প্রথম আলো। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৫-০৩-২০১৩ খ্রিস্টাব্দ।
- কৃত্রিম রুপচর্চায় ধ্বংস হতে পারে জীবন,প্রাইম নিউজ। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ: ১৬ ডিসেম্বর,২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
Comments
Post a Comment