অনিয়মিত মাসিকের কিছু ঘরোয়া ও ভেষজ চিকিৎসা
অনিয়মিত
মাসিক বা ইরেগুলার মেনস্ট্রুয়েশন নানা কারণে হতে পারে। অনেক সময় এটি
প্রজননতন্ত্রের বিভিন্ন জটিলতার পূর্বাভাস দেয়। আবার অনেকের স্বাভাবিক
ভাবেই অনিয়মিত মাসিক হয়। তবে যাই হোক না কেন এটি আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্থ
করে নি:সন্দেহে। অনিয়মিত মাসিকের চিকিৎসায় যুগ যুগ ধরে চলে আসছে নানা ভেষজ
পদ্ধতি, যেগুলোর উপকার বৈজ্ঞানিক ভাবেও প্রমাণিত হয়েছে। যদি আপনার শরীরে
মারাত্মক কোন সমস্যা না থাকে তাহলে এর থেকে উপকার পাবার আশা করতেই পারেন।
আসুন আজ এরকমই কিছু ঘরোয়া ভেষজ পদ্ধতি দেখে নেই।
•
নিয়মিত কাঁচা পেপে খেলে অনিয়মিত মাসিকের জন্য অনেক উপকারী। তবে যারা
গর্ভবতী তাদের কাঁচা পেপে না খাওয়াই ভাল, এতে গর্ভপাত হতে পারে।
• বটগাছের শেকড় ১০ মিনিট গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেকে, সেই পানিতে ২-৩ টেবিল চামচ গরুর দুধ মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমাবার আগে খেতে হবে।
• মাসিক নিয়মিত করণে মৌরি খুবই ভাল একটি পথ্য হিসাবে কাজ করে।
•
আঙুর ফলও পিরিয়ড রেগুলার করার জন্য খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন আঙুরের জুস
খেলে বা খাবারের তালিকায় আঙুর থাকলে ভবিষ্যতে মাসিক নিয়মিত রাখতে সহায়তা
করে।
• করলার রসও অনিয়মিত মাসিকের ক্ষেত্রে উপকারী।
• প্রতিদিন ধনিয়াপাতা বা ধনিয়া গুড়া দিনে তিনবার করে খেলে মাসিক নিয়মিতকরণে অনেক ভুমিকা রাখে।
• ২টি মূলাকে সামান্য পানি দিয়ে ব্লেন্ড করে এক কাপ মাঠার সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
•
অনিয়মিত মাসিকের পথ্য হিসাবে ডুমুর যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ৪-৫টি
ডুমুর ফল কেটে পানিতে সেদ্ধ করে ছেকে সেই পানি নিয়মিত খেলে অনেক উপকার
পাওয়া যায়।
• গাজরে রয়েছে প্রচুর বেটা ক্যরোটিন, যা মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
• এলোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাস রূপচর্চার পাশাপাশি মাসিক নিয়মিত করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
• ঋতুচক্র শুরুর সম্ভাব্য সময়ের এক দুই সপ্তাহ আগে থেকে আখ বা গেন্ডারির রস খেলে আশা করা যায় সময়মতো মাসিক হবে।
মনে
রাখবেন উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো গর্ভবতী নন এমন মহিলাদের জন্যই প্রযোজ্য।
গর্ভবতী মায়েদের শরীরে এই উপাদানগুলো বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরী করতে পারে।
এজন্য যারা বিবাহিত তাদের আগে নিশ্চিত হতে হবে যে তারা গর্ভবতী হয়েছেন
কিনা।
একটা বিষয় মনে রাখা উচিত শরীরে
আয়রনের অভাব থাকলেও মাসিক অনিয়মিত হতে পারে। এজন্য ভেষজ এই পদ্ধতিগুলোর
পাশাপাশি আয়রন বা লৌহ সমৃদ্ধ খাবার যেমন: গরু, ভেড়া, মুরগির মাংস; কলিজা,
ডিম; চিংড়ি, টুনা মাছ; পালং শাক, মিষ্টি আলু, মটরশুটি, ব্রকোলি, বাধাকপি,
ফুলকপি; সুজি, গম, বার্লি; স্ট্রবেরি, তরমুজ, খেজুর, গাব; টমেটো, ডাল,
ভুট্টা, শস্যদানা ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে।
আর এতেও যদি উপকার না পান সেক্ষেত্রে কোন গাইনি ডাক্তারের শরণাপন্য হওয়াই বাঞ্ছনিয়।
কৃতজ্ঞতা
ডা: কামরুল ইসলাম
এম.বি.বি.এস, পিজিটি (ইএনটি), এম.এস(মাইক্রোবায়োলজি)
রেসিডেন্স মেডিকেল অফিসার, প্লেজ হারবার স্কুল এন্ড স্পোর্টস্ একাডেমি
ডা: কামরুল ইসলাম
এম.বি.বি.এস, পিজিটি (ইএনটি), এম.এস(মাইক্রোবায়োলজি)
রেসিডেন্স মেডিকেল অফিসার, প্লেজ হারবার স্কুল এন্ড স্পোর্টস্ একাডেমি
Comments
Post a Comment